জমি নির্বাচনঃ-
দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি আখ চাষের জন্য খুবই ভালো।
চারা তৈরিঃ-
বিভিন্ন পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা যায় এর মধ্য সহজ পদ্ধতি হলো বীজতলা বা বেডে চারা উৎপাদন করা। চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরী করে তার উপর আখের পাতা/ ধানের খড়/ কচুরী পানা বিছিয়েও বেড তৈরী করা যায়। বীজতলায় এক বা দুই চোখ বিশিষ্ট বীজ খন্ড পাশাপাশি স্থাপন করে চারা উৎপন্ন করা হয়। বেড চারার ক্ষেত্রে চারা যেন শুকিয়ে না যায় তারজন্য মাঝে মধ্যে ঝাজরি দিয়ে পানি দিতে হবে। চারা যাতে আলো বাতাস পায় এবং লিকলিকে না হয়ে যায় তার জন্য ৪-৫ পাতা হওয়ার পর মাঝে মধ্যে পাতা গুলো কেটে দিতে হবে। সুস্থ রোগমূক্ত ও সবল চারা ৪০-৪৫ দিন বয়স হলে মূল জমিতে রোপন উপযোগী হয়।
মূল জমিতে রোপণঃ-
জমি গভীর ভাবে চাষ ও মই দিয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে ১ মিটার পর পর লাঙ্গল/ ট্রেঞ্চার/ কোদাল দিয়ে নালা তৈরী করতে হবে। নালায় সব ধরনের সার দিয়ে নালার মাটিকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে সার মিশিয়ে দিতে হবে। চারা নির্দিষ্ট দুরত্বে ৪০-৫০ সে. মি. পর পর নালায় চারা রোপন করতে হবে। রোপনের পর চারার গোড়ার মাটি ভাল ভাবে চাপ দিয়ে শক্ত করে দিতে হবে যাতে চারাটি বাতাসে নড়ে বা সেচ দেওয়ার সময় উঠে না যায়। রোপনের পর পরই ১ টি অথবা প্রয়োজন বোধে ২ টি সেচ প্রয়োগ করতে
পরিচর্যাঃ-
বীজতলায় বা মূল জমিতে চারা রোপনের পর চারাগুলো হলদে বা দূর্বল মনে হলে ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া মিশিয়ে চারার উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে কয়েকদিনের মধ্যে চারা সতেজ ও সবুজ হয়ে উঠবে।
পোকার আক্রমন হলে হাতে নাতে অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকা দমন করতে হবে।সাদা পাতা বা অন্য যে কোন রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে সরিয়ে ফেলতে হবে।আগাছা দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
সুন্দর পোস্ট
nice blog...