_file_2023_02_22_124256_39882878.jpg

 চাষের জন্য উপযুক্ত জমি -

আদা চাষ করার জন্য উঁচু অথবা মাঝারী উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। এবং জমিতে পানি নিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।


আদা চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি-

দা চাষের জন্য উঁচু বেলে দো-আঁশ, বেলে ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি উপযোগী,জমিতে ভালো করে চাষ ও মই দিয়ে এবং মাটি ঝুরঝুরে করে জমি প্রস্তুত করতে হবে।


বীজ রোপনের সময় -

ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত  লাগানো যায়।


আদার বীজের জাত নির্বাচন-

বাংলাদেশে আদার যেসব জাত রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে রংপুরী, খুলনা, টেংগুরা,এবং বারি আদা-১ , তবে উচ্চফলনশীল জাত হিসেবে বারি আদা-১ অন্যতম।


আদার বীজ রোপন-

সাধারণত ১২-১৫ গ্রাম ওজনের ১-২টি কুঁড়ি বিশিষ্ট কন্দ লাগানো হয়। ৪০-৪৫ সে.মি. দূরে দূরে সারি করে ২০ সে.মি. দূরে ৫ সে.মি. গভীরে আদা লাগানো হয়। 


হেক্টর প্রতি বীজের পরিমাণ -

হেক্টরপ্রতি প্রায় ১০০০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।

 

সার প্রয়োগ-

আদার ভাল ফলন পেতে হলে জমির উর্বরতার উপর নির্ভর করে প্রতি হেক্টরে 

গোবর সার ৪-৬ টন, 

ইউরিয়া ২০০-২৪০ কেজি, 

টিএসপি ১৭০-১৯০ কেজি, 

এমওপি ১৬০-১৮০ কেজি প্রয়োগ করতে হয়।

জমি প্রস্তু'তির সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি ও ৮০-৯০ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করতে হয়।

কন্দ লাগানোর ৫০ দিন পর ১০০-১২০ কেজি হারে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা হয়।

 লাগানোর ৯০ দিন ও ১২০ দিন পর যথাক্রমে ২য় ও ৩য় কিস্তি-র সার উপরি প্রয়োগ করা হয়।

ভেলা সামান্য কুপিয়ে ১ম কিস্তি-র সার প্রয়োগ করে আবার ভেলা করে দিতে হয়। ২য় ও ৩য় কিস্তি-র উপরি প্রয়োগের সময় প্রতি হেক্টরে প্রতিবারে ৫০-৬০ কেজি ইউরিয়া ও ৪০-৪৫ কেজি এমওপি সার প্রয়োগ করা হয়। ২য় ও ৩য় কিস্তি-র সার সারির মাঝে প্রয়োগ করে মাটি কোঁদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে সামান্য পরিমাণ মাটি ভেলীতে দিতে হয়।

 

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা-

আদা লাগানোর পর বৃষ্টি হলে সেচের প্রয়োজন হয় না। তবে বৃষ্টি না হলে ও মাটিতে রসের অভাব থাকলে নালাতে সেচ দিতে হবে এবং ২-৩ ঘন্টা পর নালার অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে হবে। বৃষ্টির পানি যেন জমতে না পারে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আগাছা দেখা দিলে তা পরিষ্কার করতে হবে। সার উপরি প্রয়োগের সময় আগাছা পরিষ্কার করে প্রয়োগ করা ভালো।


রোগ ব্যবস্থাপনা ও পোকা দমন-

রোগের নাম :- রাইজম রট

এ রোগে আক্রান্ত হলে মাটি বরাবর গাছের গোড়া পচে যায় এবং পাতা হলুদ হয়ে যায় ফলে আদা পচে গিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত রস বের হয়।

প্রতিকার:- রোগমুক্ত বীজ আদা রোপণ করা, একই জমিতে বারবার আদা চাষ না করা। জমিতে পানি নিকাশের ব্যবস্থা করা। প্রতি লিটার পানিতে তিন গ্রাম রিডোমিল গোল্ড মিশিয়ে মাটি ভিজিয়ে দিতে হবে।

আদা চাষে পোকা দমন:- আদা গাছে কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হতে পারে। কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা দমনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।


ফসল সংগ্রহ-

আদা লাগানোর ৯-১০ মাস পর উঠানোর উপযোগী হয়। গাছের প্রায় সব পাতা শুকিয়ে গেলে আদা তোলা হয়। ফলন প্রতি হেক্টরে ১২-১৩ টন।



Author : আলিম উদ্দিন চৌধুরী

Feb 22 2023

296 Views
Leave a Comment
Reviews (0)